দৈনন্দিন জীবনের সব ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থাটি। সে জন্য সম্প্রতি ‘সব হবে নগদ-এ’ নামের একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
ইতোমধ্যে অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট বিলসহ প্রায় সব ধরনের বিল পরিশোধ করা, ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জমা দেওয়া এবং ইউটিলিটি বিল প্রদান এসবই ‘নগদ’-এর মাধ্যমে হচ্ছে। গ্রাহকদের জীবনযাপন আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় করতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় সেবাও এই একটি প্ল্যাটেফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে ‘নগদ’।
অ্যাকাউন্ট খোলার সহজতম পদ্ধতি প্রবর্তন থেকে শুরু করে ‘নগদ’-এ সেবা নেওয়া সব সময়ই সহজ। শুরুতে ডিজিটাল কেওয়াইসি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু করলেও এখন মোবাইল ফোনে *১৬৭# ডায়াল করার পর এবং পিন সেট করেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সব মিলে মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগে এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে।
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে মানুষের জীবনকে সহজ করতে ‘নগদ’ নিরলসভাবে কাজ করেছে। যার ফলে এখন চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো জরুরি সেবা নেওয়ার পর ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। ফলে একটি একটি করে অসংখ্য পরিবার এখন সুরিক্ষত থাকছে।
সংস্থাটি জানায়, রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সহজ করতে প্রায় ১২ হাজার মার্চেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মিনা বাজার, ইউনিমার্ট, প্রাণ-আরএফএল, ওয়ালটন প্লাজা, ট্রান্সকম ডিজিটাল, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স, বে এম্পোরিয়াম এবং যমুনা গ্রুপের হোলসেল ক্লাবের মতো প্রতিষ্ঠান – যেখানে গ্রাহকরা তাদের নিত্যকার প্রয়োজনীয় পেমেন্ট ‘নগদ’-এর মাধ্যমে করেছেন।
জনবান্ধব সব সেবা ‘নগদ’ এর প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে একটি উপযুক্ত ডিজিটাল জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করছে ‘নগদ’। একটি সফল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরী করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি আর সেটি তৈরি করতে ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিত করাই হলো একমাত্র উপায়।