কাতার থেকে: প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী। চেনা কন্ডিশনে কাতার ভয়ঙ্কর যেকোনো দলের জন্যই। ফিফা টেবিলে ১২৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য তাদের বিপক্ষে লড়াই দৈত্যের সঙ্গে লড়ার মতোই। অবশ্য সাহস হারাচ্ছে না টিম বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েই দিলেন, বড় প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের লড়াইটা হবে চোখে চোখ রেখে।
বাংলাদেশ দলের জন্য সুখবর, করোনা জয় করে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন কোচ জেমি ডে। কাতারের শক্তি মাথায় রাখলে লাল-সবুজ দলের কোচের হুমকি তারা ড্রয়ের জন্য আসেননি, এখানে জয়ের জন্য এসেছেন। কাতার যতই শক্তিশালী হোক না কেনো, বাংলাদেশ দল পিছু হটবে না।
অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াও বলছেন একই কথা। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে তার কথা, কাতার একটি শক্তিশালী দল এবং তাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে তারা নিজেদের পিছিয়ে রাখবেন না। ম্যাচ জয়ের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
দলের অন্য সতীর্থরাও সমর্থন দিচ্ছেন অধিনায়ককে। বলেছেন, যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিতে পারলে ফলাফল অবশ্যই বাংলাদেশের পক্ষে আসবে।
কাতারে গিয়ে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। দ্বিতীয় সারির দুই দলের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক আশরাফুল রানা অবশ্য আগের দুই প্রীতি ম্যাচ ও প্রস্তুতি ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে কাতারের বিপক্ষে নতুন রূপে মাঠে নামতে চান।
‘লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলাম। সেই হিসেবে ম্যাচ ফিটনেসের ঘাটতি আসলে ছিল। আমাদের যে ভুলগুলো ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেছি।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে মাত্র ২০ ভাগ টিকিট, অর্থাৎ দুই হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এতে করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুব বেশি টিকিট পাননি। প্রবাসে এসে স্বদেশিদের সমর্থনের ঘাটতিও কিছুটা মন খারাপ করেছে বাংলাদেশ দলের সদস্যদের। বেশি দর্শক আসলে বেশি সমর্থনও পাওয়া যেত।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপের প্রাথমিক পর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে শুক্রবার কাতারের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে কাতার। চার ম্যাচে ১ পয়েন্টে তলানিতে সফরকারীরা।