জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিচারকরা গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আইন কমিশনের ২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, দেশ ও জাতির স্বার্থকে ধারণ করে আইন কমিশন নতুন নতুন আইন প্রণয়নে সহযোগিতা করবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার বিচার বন্ধে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করার আইনগত অভিমত দিয়ে ভূমিকা রেখেছে আইন কমিশন। এছাড়াও বিগত ২০ বছরে আইন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আইনের সংস্কার বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ পাঠানো হয় যার ভিত্তিতে সরকার আইন প্রণয়ন ও সংশোধন করেছে।
কমিশনের ২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে আইন কমিশনকে জনগণ ও মানুষের কল্যাণে আইনের সংস্কার ও সুপারিশ করতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেন, ‘ বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনসমূহের অনেকগুলি সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অপ্রাসঙ্গিক ও অসামঞ্জস্য হয়ে পড়েছে। এসব আইন যুগোপযোগী করে তোলাও এখন সময়ের দাবি। আইন সংস্কার প্রস্তাব ও সুপারিশে যেনো জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ও কল্যাণের প্রতিফলন ঘটে কমিশনকে তা সর্বাগ্রে বিবেচনা করতে হবে। আইন কমিশন আগামীতে দেশ ও জাতির স্বার্থকে ধারণ করে প্রয়োজনে নতুন নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে এবং গবেষণা ও বাস্তবতার নিরিখে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করবে’।
সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান, তাই কেউই যেন আইনের আশ্রয় বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে বলেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি বিনা অপরাধে কেউ যেন সাজা না পায় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জনগণ ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত না হলে কেবল ব্যক্তিই যে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা নয়। এর ফলে জনগণ বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারায় এবং গণতন্ত্রের বিকাশ ও আইনের শাসন ব্যহত হয়’।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হকসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।