চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দেশে ফিরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় কাদের

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চলতি সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা থাকলেও তা কিছুদিন বিলম্বিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন: কবে দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপের পরই সিদ্ধান্ত নেবেন।

বুধবার রাতে সিঙ্গাপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, ফেনী-০২ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ নিজাম হাজারী, রংপুর-০৫ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত এইচ.এন আশিকুর রহমানসহ দুজন যুবলীগ নেতা।

সেখানেই কথা প্রসঙ্গে ওঠে আসে ওবায়দুল কাদেরের দেশে ফেরার বিষয়টি। উপস্থিত নেতাদের কাদের জানান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর তিনি তার সঙ্গে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই তাকে দেশে ফিরে আসতে বলবেন তিনি তখনই দেশে ফিরে আসবেন।

তবে এখনও কিছু চেক আপ বাকি রয়ে গেছে বলে উপস্থিত সকলকে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল চেক আপ শেষ হতে আরও কিছু দিন লেগে যাবে। সব মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে তার ফেরার সম্ভবনা কম বলে জানান তিনি।

তারপরও দলীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন তিনি। এ তথ্য চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছে উপস্থিত একজন যুবলীগ নেতা।

১ মে ১০ দিনের ব্যক্তিগত সফরে লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তার চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি এসময়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়ারও কথা রয়েছে তার।

টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই শেখ হাসিনার প্রথম ব্যক্তিগত সফর। ১০ মে সফর শেষে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

এর আগে, গত ৩ মার্চ ভোরে ঢাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। দিনভর উৎকন্ঠা শেষে পর দিন ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যোগে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে ৩৩ দিন চিকিৎসা শেষে ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান তিনি। এরপর থেকেই রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালের কাছে একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন তিনি। ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।

যদিও মাসের শুরুতে সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের বরাতে জানা গিয়েছিলো: ওবায়দুল কাদেরের দেশে ফেরা নিয়ে সেখানকার চিকিৎসকদের কোন আপত্তি নেই। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরবেন তিনি।