ধীরে ধীরে ভূমির মালিকানায় আসছেন প্রকৃত কৃষক, তবে কৃষির আয় বিনিয়োগ হচ্ছে অকৃষি খাতে। বিষয়টি নিয়ে গবেষক এবং নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। কৃষি বিষয়ে এক আলোচনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরাও বিয়টিতে সায় দিয়ে তাদের মর্যাদাহানীকর নীতি-সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
“বাংলাদেশের কৃষি প্রশ্ন: কৃষকের পরিপ্রেক্ষিত” শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিব) এর উদ্যোগে।
কৃষককে সম্পৃক্ত করে উৎপাদন, বণ্টন, বাজারজাতকরণ এবং মাটির স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণালব্ধ মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক সুরাইয়া বেগম। এতে দেশী জাতের ধানের বীজ এবং হাইব্রিড বীজের তুলনামূক লাভ-ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন গবেষক।
কৃষি এবং কৃষকের দুর্ভোগের বিবরণ দেন বিভিন্ন জেলার কৃষক। কৃষক সংগঠক এবং রাজনীতিবিদরাও ছিলেন আলোচনায়। কৃষি শুধু কৃষকের বিষয় নয়, কাজেই গবেষক, নীতিনির্ধারক, ভোক্তা সবাইকে কৃষির স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করার আহ্বান জানান আলোচকরা।
চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান ও কৃষি-গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, এই ভূমি মালিকরা তাদের সন্তানদের কৃষিতে পায় না। অন্যদিকে ভরা মৌসুমে কৃষিতে শ্রমিক না পাওয়া তাদের জন্য একটি বাড়তি চাপ। এরফলে, তারা কৃষি জমি একেবারে লিজ দিয়ে দিচ্ছে। লিজ দেওয়ার ফলে সে কৃষক অনেকগুলো টাকা হাতে পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এই জমি ভূমিহীন বর্গা চাষীরা লিজ নিয়ে চাষবাদ করছে। জমির মালিকের কাছ থেকে যে জমি বর্গা নিয়ে চাষ করছিলো, তার কাছেই কয়েক বছরে ৫ কাঠা ১০ কাঠা করে জমি কিনছে।
শাইখ সিরাজ আরও বলেন, কৃষিতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। যিনি বর্গা দিয়ে লাভ করলেন, এটা তো কৃষির টাকা। এই টাকাটা কিন্তু চলে যাচ্ছে কৃষির অন্যখাতে। এটা একটা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ চিত্র।
আলোচনার শুরুতে তৃণমূলের কৃষকদের অংশগ্রহণে দলীয় সঙ্গীত এবং নাটকের মাধ্যমে দেশীয় বীজের উপকারিতা তুলে ধরা হয়।