উত্তরের জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের অন্যান্য জেলাতেও প্রায় কাছাকাছি মাত্রার শীত তীব্রতা দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রভাবে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমে আসছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে শীতজনীত রোগীও বাড়ছে। পঞ্চগড়ের কোনো সরকারি হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় শিশু রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুরে ছুটছেন।
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। এদিন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে পারছেন না মানুষ। হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগী বাড়ছে।
দিনাজপুরে হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গাইবান্ধায় গত তিন চার দিন ধরে সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না। ঘনকুয়াশার সাথে। অসুখ-বিসুখও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আবু হানিফ।
ঠাকুরগাঁওয়ে খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে গিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলায় বুধবার রাতে ৫৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে।