প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকায় তৃতীয় টার্মিনাল এবং কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরকে আধুনিক করা হবে।
বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নতুন সংযুক্ত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’র উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিমানের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করে দেশের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে বিমানের সেবার মান আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
গত ১৯ আগস্ট বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছায় আমেরিকায় তৈরি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান ‘আকাশবীণা’।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল পেনফিল্ড থেকে কোনও যাত্রাবিরতি ছাড়াই টানা সাড়ে ১৪ ঘণ্টা উড়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিজি-২৮০১ ফ্লাইটটি। ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় এই আকাশযানকে।
এর আগে সিয়াটলে বোয়িং ফ্যাক্টরি থেকে ড্রিমলাইনার বিমানটি গ্রহণ করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
আকাশবীণার মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাইরের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টিতে।
নতুন এ উড়োজাহাজের আসন সংখ্যা ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো।
বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। দু’পাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা।
একই সঙ্গে জানালার বোতাম টিপে আলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম।
ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ সময় ভ্রমণেও যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন সেজন্য এর ভেতরে এয়ার কম্প্রেসার সিস্টেম অন্যান্য বিমানের তুলনায় উন্নত।