পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মাইন, গ্রেনেড কিংবা বিমান হামলায় দেশের অবকাঠামো খাতে যে ক্ষতি হয়েছিল তা আজও রয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ৭১ এর ভয়াবহতার স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে মুখ থুবড়ে আছে অনেক ব্রিজ, কালভার্ট আর রেলসেতু।
পঞ্চগড় থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছে এই খবর শুনে তাদের প্রতিহত করতে ভুল্লি নদীর উপরের এ ব্রীজটি ধ্বংস করে দিয়েছিলো পাকিস্তানী হানাদাররা।
আর দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর উপর এই রেলসেতুটি যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। জর্জবাহিনীর নেতৃত্বে দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হয়েছিল এখানে। রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিলো পুঠিয়ার বিড়ালদহের এই ব্রিজের দুই পাশে।
মরণপণ সেই লড়াইয়ে যারা অংশ নিয়েছিলো তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। বাড়ির দেয়ালে আজও স্পষ্ট সেই গুলির দাগ।
নীলফামারীরর সৈয়দপুরে মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে ফেলে দেয়া হতো নদীর পাশে এই কুপে। রংপুরের আলমনগরে স্বাধীনতার দাবিতে মুক্তিকামী মানুষের মিছিলে গুলি চালানো হয়। গুলির সেই চিহ্ন নিয়ে একনও দাঁড়িয়ে আছে এই বাড়িটি।
স্বাধীনতার ২১ দিন পর ৬ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকা মাইন সংগ্রহ করে জমা রাখলে একসঙ্গে ২ হাজার মাইন বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে নিহত হয় ৬শ’রও বেশি মুক্তিযোদ্ধা। সেই হৃদয় বিদারক ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গেছে আজও।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:
https://youtu.be/1fUkmXGYR0k