অনন্য মামুন পরিচালিত ‘ফোন এক্স’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছি ঢাকার উত্তরায়। কয়েকদিন শুটিংয়ের পর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিন জন ভারতীয় শিল্পী টুরিস্ট ভিসায় এসে কাজ করছেন। তারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করছেন না! সে কারণে বাংলাদেশের টিভি নাটকে পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টর ডিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হল অলিক বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়েছেন।
খবর রটে, ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ না করায় সব শুটিং বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ভিন্ন কথা বললেন পরিচালক অনন্য মামুন। তার দাবী, শুটিং বন্ধ হয়নি। ভারতীয় যে তিন শিল্পীর শুটিংয়ের কথা বলা হচ্ছে তারা শুটিং করেনি। বেড়াতে এসেছিলেন। একই কথা বললেন, ‘ফোন এক্স’-এর অভিনয় শিল্পী ইমতু রাতিশ।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, গতকাল আমার শুটিং থাকা সত্বেও অন্য শিল্পীদের সিকোয়েন্স বেশি থাকায় আমার কাজ ক্যানসেল হয়। কিন্তু শুটিং বন্ধ হয়নি। তিনজন অতিথি ছিলেন। তারা শুটিং করেননি। মধ্যরাত অবধি উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে বাংলাদেশের শিল্পীরা শুটিং করেছেন।
ইমতু রাতিশ আরও বলেন, নিয়ম মেনে সবকিছু হোক। তবে এর জন্য যেন শুটিং বন্ধ না হয়। এতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। বিদেশের শিল্পীরা আমাদের দেশে কাজ করতে আসলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য তাগিদ দেয়া হয়। ভালো কথা! কই, আমরা যখন শুটিং করতে দেশের বাইরে যাই, তখন তো ওয়ার্ক পারমিট নেই না। আমরা টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে শুটিং করে আসি।
গেল রোজার মাসেও কলকাতাতে এই ‘ফোন এক্সয়’-এর শুটিং করেছি ১০ দিন। তখনও ওয়ার্ক পারমিট নেইনি। শুধু তাই নয়, মালয়েশিয়ায় গিয়েছি ৩৪ বার। এরমধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার শুটিং করতে গিয়েছি। প্রতিবারই টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করেছি। এছাড়া ভারত, সিঙ্গাপুর, দুবাইছাড়াও অনেক দেশে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে শুটিং করেছি। ওয়ার্ক পারমিট লাগেনি।
আমার সাথে যারাই গিয়েছিল তাদের সবারই টুরিস্ট ভিসা ছিল। ওয়ার্ক পারমিট ছিল না। সিনেমায় কাজের ক্ষেত্রে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার নেই। দীর্ঘদিন নাটকে কাজের অভিজ্ঞা থেকে বলছি, আমি ছাড়াও আমাদের বেশিরভাগ শিল্পী অনুমতি না নিয়ে বিদেশে শুটিং করেন। তখন বাইরের দেশ থেকে তো কোনো বাঁধা আসেনা। তাহলে বাইরের শিল্পীরা আমাদের দেশে এলে এতো সমস্যা কেন? এরপর আমরা কি দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবো?
‘ফোন এক্স’ ওয়েব সিরিজে ইমতু ছাড়াও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা জলি, জন, লামিয়া, হারুনুর রশীদ, পুনম। এছাড়া ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে মধুমিতা, শ্রাবন্তীসহ আরো একজন। জানা যায়, কলাকাতার পর বাংলাদেশের শুটিং শেষে বালিতে শুটিং হবে। এরপর এটি তিন ভাষায় কয়েকটি দেশের মুক্তি পাবে।