বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকতে শান্তিরক্ষীদের আহ্বান জানান।
দিবসের অনুষ্ঠানে গত বছর শান্তি মিশনে যারা শহীদ কিংবা আহত হয়েছেন তাদের ও তাদের পরিবারের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দক্ষতার মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যারা কাজ করছেন, তাদের সেই পেশাদারিত্ব বজায় রাখতেই হবে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার পাশাপাশি দেশের দুর্যোগে ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছেন। দেশের প্রয়োজনেও শান্তিরক্ষীরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।
শেখ হাসিনা জানান, বর্তমানে ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও মিশনের উচ্চতর পদে বাংলাদেশের সেনাদের নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে।
একে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীদের সাহস, বীরত্ব ও পেশাদারীত্বের জন্য শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ প্রথম সারির দেশ হতে পেরেছে।
পরে ভিডিও কনফারেন্সে মালি এবং কঙ্গোতে কর্মরত শান্তিরক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শান্তি রক্ষা মিশনে অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যে ক’টি দেশ কাজ করছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি, দিনে দিনে আরো বাড়ছে সংখ্যা। আর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেছেন ১২৪ জন বাংলাদেশি।
গত ২৯ মে ছিলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রোববার।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত ‘পিস কিপার্স রান’ এর মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পিস কিপার্স রানের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। এতে সশস্ত্রবাহিনী ও জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।