একদিকে বিরল সম্মান, অন্যদিকে পাহাড়সম চাপ। একদিকে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে ইডেনে প্রথমবার দিন-রাতের টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়টাতে টেস্টে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড যার কাঁধে, সেই মমিনুল হক কিন্তু অদ্ভুত রকম শান্ত।
সাকিবের বদলে টেস্টের নেতৃত্ব পেয়েছেন তখনো ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। তার মধ্যেই ভারতের এক দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে মমিনুল বলেছেন, ‘দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই খুব সম্মানের। ক্যাপ্টেন হওয়া নিশ্চিতভাবেই আরও বড় সম্মান। কিন্তু ক্যাপ্টেন হয়ে আলাদা করে দারুণকিছু এক্সাইটমেন্ট হচ্ছে বললে বাড়িয়ে বলা হবে। আসলে দেশের জন্য খেলাটা কর্তব্য বলে মনে করি। নিজের কাজটা ঠিক করে করাই লক্ষ্য। তার বেশিকিছু নয়।’
সাকিবের ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই এলোমেলো করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমিনুলের দলের কাছে কাজটা কঠিন হয়ে গেল বলে মনে করছেন অনেকেই। পুরো বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক, ‘আমি জানি, ভারতে এটা নিয়ে প্রশ্ন আসবে। দেখুন, এগুলো থাকবেই। এসব নিয়েই চলতে হবে। চলতে হয়। অবশ্যই এটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি এবং আমাদের সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েই খেলতে হবে। আমরা তৈরি।’
শুধু সাকিবের অনুপস্থিতিতে দলকে চাঙা করলেই হবে না, নিতে হবে গোলাপি-চ্যালেঞ্জও। দিন-রাতের টেস্টে প্রথমবার নামছে বাংলাদেশ। গোলাপি বলের টেস্ট ঘিরে মমিনুলের কথায় নিদারুণ আত্মবিশ্বাস, ‘ভারতও তো প্রথম খেলছে। আমার মনে হয় না, দিন-রাতের গোলাপি বলে খুব সমস্যা হবে। টেকনিকের কিছুটা ফারাক থাকতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, মানসিকতাটাই আসল। যদি মাইন্ডসেট ঠিক থাকে, চার-পাঁচ দিন অনুশীলন করলে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’
ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে মমিনুল টস করতে যাবেন বিরাট কোহলির সঙ্গে। আক্রমণাত্মক বিরাটের সঙ্গে কতটা পেরে উঠবেন শান্ত মমিনুল? জবাবে টাইগার অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি চাইলেও বিরাটের মতো অ্যাগ্রেসিভ হতে পারব না। ও চাইলেও আমার মতো নয়। আসলে দু’জনের স্বভাবটাই আলাদা। তাছাড়া শুধু বিরাটের অ্যাগ্রেসনের কথা বলছেন কেনো, ধোনির কথাও বলুন। তিনি তো খুবই চুপচাপ। তারপরও তো কত সফল।’