‘আমি ইচ্ছা করলেই দেশের বাইরে গিয়ে আমার হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে পারতাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই সুযোগও আমাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার দেশপ্রেম আমাকে দেশ ত্যাগ করতে দেয়নি। আমি যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবেই সবকিছু শুরু হয়েছিল। আমার বুকে ছিল জাতীয় পতাকা এবং পতাকার ওপর ছিল পবিত্র কোরআন।’
হৃদযন্ত্রে রিং বসানোর পর এভাবেই কথাগুলো নিজের ফেসবুকে লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বুধবার (৬ জুন) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে কথাগুলো বলেন কিংবদন্তি এই সংগীত ব্যক্তিত্ব। বুলবুল জানান, তিনি এখন অনেক সুস্থ এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছেন উল্লেখ করে তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
তিনি আরো লেখেন, আমার এই হৃদরোগ চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, শিল্পী, সাংবাদিক ও অনেক কাছের শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও কিছু বলে যাইনি। আমি অন্তর থেকে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
গত ২ জুন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদযন্ত্রে দুটো রিং পরানো হয়। সফল এই অস্ত্রপচারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আফজালুর রহমান। তার হৃদযন্ত্রে মোট আটটি ব্লক ধরা পড়ে। প্রথমে বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পরে সেটা পরিবর্তন করে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এমনকি বিদেশের উন্নত হাসপাতালে নিয়ে এই চিকিৎসা করানোর জন্য সব ধরনের সহযোগিতার কথা বলা হলেও রাজি হননি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দেশের চিকিৎসকদের ওপর বিশ্বাস রেখে তিনি দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।