চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দেড় বছর পর ওমরার সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশিরা

আগামী ১০ আগস্ট (হিজরী নতুন বছরের পহেলা মহররম) থেকে বহির্বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরা পালন করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়।

সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজ হারামাইন শরীফাইন এর মাধ্যমে কয়েকটি শর্ত পূরণ করে সহজভাবে ওমরা পালন করতে পারবেন বহির্বিশ্বের মুসলমানরা।

তথ্য অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে যেকোনো দেশের মুসলমান নাগরিকই ওমরা পালন করার সুযোগ পাবেন। তবে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিশর, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা এবং লেবানন ছাড়া বহির্বিশ্বের সব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওমরা পালন করার উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

উল্লিখিত ৯টি দেশের ওমরা পালনে আগ্রহীরাও ওমরা পালন করতে পারবেন তবে তার পূর্বে তৃতীয় কোন দেশ থেকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যান্য দেশ থেকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ফাইজার, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জে এন্ড জে’র করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ২ ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্নকারী অথবা বুস্টার শট এর মাধ্যমে চাইনিজ ভ্যাকসিন সম্পন্নকারীরা সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এজেন্সি সমূহের মাধ্যমে ওমরা পালন করার সুযোগ পাবেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বহির্বিশ্বের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সৌদি সরকার। যার কারণে ওমরা পালন করা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বহির্বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বর্তমানে সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় এবং সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পাদন সম্পন্ন হওয়ায় সৌদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র আরও জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে এবং করোনা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে প্রাথমিকভাবে সেই সব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরা করার সুযোগ পাবেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশগুলো থেকেও ওমরা পালন করার জন্য আগ্রহীদের সুযোগ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানিয়েছে, সৌদি সরকার হজের প্রস্তুতির পাশাপাশি হজ পরবর্তী ওমরা ব্যবস্থাপনা উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষ্যে মক্কার পবিত্র কাবাঘর এবং মদিনা মসজিদে নববীসহ পবিত্র স্থানসমূহে তীর্থযাত্রীরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ওমরা পালন করতে পারেন এবং পবিত্রতম স্থান সমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি সৌদি আরবের ইসলামী ঐতিহ্যের সাথে জড়িত এলাকাসমূহ ঘুরে দেখতে পারেন সে ব্যাপারে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।