দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজধানীতে দুস্থদের মাঝে ইফতার ও কাপড় বিতরণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে খাদ্যসামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করেন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এসব কর্মসূচিতে কোন ধরনের পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে অনুপস্থিতির সময়ে খালেদা জিয়ার নেতাকর্মীদের বিশাল বহর দেখে রাজধানীবাসী নানা মন্তব্য করছেন।
অনেকে বলছেন, বহুদিন পর রাজধানীতে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ালেন খালেদা জিয়া! অবশ্য নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি আর সাধারণ মানুষের প্রচন্ড ভীড়ের কারণে গাড়ি থেকে না নেমেই কাপড় ও ইফতার বিতরণ শুরু করেন। এনিয়ে অনেকে সমালোচনাও করছেন।
বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ভীতিকর মোটর শোভাযাত্রা নিয়েও সমালোচনা করেছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, দুস্থদের মাঝে ইফতার ও কাপড় দিতে এসে এমন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির কোন প্রয়োজন ছিলো না।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছাত্রদল এর উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয় বিএনপির কর্মসূচি। এরপর সকাল ১০.৩০ টায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতারা। সকাল ১১.০০ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে দুস্থদের মাঝে ইফতার/খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেন খালেদা জিয়া।
ধানমন্ডি সুচনা কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে কলাবাগান, পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্পটসহ পুরো ঢাকা শহরে নেতাকর্মীদের নিয়ে সবকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন খালেদা জিয়া। এসময় শত শত নেতাকর্মী মোটর বাইক শোভাযাত্রা করে নিজেদের নেত্রীকে সামনে থেকে স্বাগত জানায়। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এমন উন্মুক্ত চলাচল বিগত কয়েক বছরে ঢাকা শহরে দেখা যায়নি বলে জানালেন কলাবাগানের দোকানদার মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘শোডাউন দেখে আমি প্রথমে সরকারি দলের কিছু মনে করেছিলাম।।পরে আমার ভুল ভাঙলো’! এই পরিবেশ একদম অপরিচিত আমাদের কাছে। সাধারণত সরকারি দলকে এভাবে দেখা যায়”!