জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ১৭ এপ্রিল হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওইদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতের সামনে বলতে হবে তিনি দোষী না নির্দোষ। মামলা বিষয়ে অন্য কোনো বক্তব্য থাকলে তা-ও বলতে হবে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বাকী দুই আসামী আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ ও খরচ করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মামলা করে দুদক।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। এরপর দুদকের পক্ষে মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। সর্বশেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ সাক্ষ্য দেয়ার পর তাকে কয়েকটি কার্যদিবসে জেরা করে আসামিপক্ষ। সেই জেরা শেষ হয় গত ৩১ মার্চ।
বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে হাজির হয়ে ৩৪২ ধারায় বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিলো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানায়, মাননীয় আদালত অন্যান্য আসামী যারা আছে তাদের ৩২ টি সাক্ষীর বক্তব্য পড়ে শুনিয়ে ৩৪২ সম্পন্ন করেছেন। শুধ খালেদা জিয়ার অংশটুকু বাকি রেখেছেন, তিনি আদালতে হাজির হলে তার বিপক্ষে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এসেছে সেগুলো শোনার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন। আমরা আশা করছি তিনি অবশ্যই আদালতে আসবেন এবং এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। এবং এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মামলার যেসব প্রসিডিং যেটা ছিলো সম্পন্ন হবে। এবং আমরা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওই দিন আর্গুমেন্টের জন্য প্রস্তুত থাকবো।
বেগম খালেদা জিয়া আদালতে সাফাই সাক্ষী দেবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
তবে ১৭ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে মামলা বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তার আইনজীবী জানান, আদালত তাকে সরাসরি প্রশ্ন করবেন। এবং খালেদা জিয়া নিজে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবেন অথবা বলতে পারবেন আমি আমার লিখিত বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করবো। এরপর যদি উনি সাফাই সাক্ষী না দেন, তাহলে যুক্তিতর্কের তারিখ পড়বে। আর সাফাইসাক্ষী দিলে, সেই পর্যন্ত আর কোনো তারিখ দিবেন না।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আদেশ হওয়ার পর একই আদালতে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলারও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী মামলার বাদীকে জেরা করেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।