জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদীকে জেরা করা হচ্ছে।
গত ২৩ জুলাই বাদীর আংশিক জেরার পর বিচারক পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন আজ।২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন।
অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর মধ্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। জামিনে থাকা দুই মামলার আসামিরাও আদালতে হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে নানা কারণ দেখিয়ে মামলা দু’টির শুনানির জন্য নির্ধারিত ৬৯ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৮ কার্যদিবসই অনুপস্থিত থেকেছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ধার্য তারিখ গত ২৩ জুলাইসহ হাজির হয়েছেন মাত্র ১১ দিন। দীর্ঘদিন ধরে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। পরে গত ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়াসহ ওই তিন আসামি।