ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ তরুণ মনে করেন দেশের উন্নয়নে দুর্নীতি একটি বড় বাধা। জরিপ অনুযায়ী নিজের ও পরিবারে জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বেআইনি কাজের বিপক্ষে দেশের ৯৬ ভাগ তরুণ।
সততা ও দুর্নীতি সম্পর্কে ধারনা, মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি, বিভিন্ন সেবা খাতে যুবকদের দুর্নীতির অভিজ্ঞতা, দুর্নীতি প্রতিরোধে আগ্রহ ও অঙ্গীকারের মাত্রা যাচাইয়ে টিআইবি জাতীয় যুব-সততা জরিপ। সংবাদ সম্মেলন করে ‘জাতীয় যুব-সততা জরিপ ২০১৫’ ফলাফল তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।
টিআইবি’র নিবার্হী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যুব সততা জরিপে একদিক খুব ভালোভাবে পরিস্কার হয়েছে, তরুণ সমাজের দুর্নীতি সর্ম্পকে তাদের ধারণা বেশ পরিস্কার। তেমনিভাবে তারা দুর্নীতি গ্রহণ করতে চায় না বরং বর্জন করতে চায় । তারা দুর্নীতি রোধ করাকে জাতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে।
২০১৫ গত ২২ এপ্রিল থেকে ৭ মে সময়ে দৈব্যচয়নের ভিত্তিতে পরিচালিত ওই জরিপে ৭৩ শতাংশ নারী এবং ৬৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী পুরুষ। ৬৪ জেলার ৩১ টি জেলার তিন হাজার ছয়’শ ছাপান্ন জন তথ্যদাতা ওই জরিপে অংশ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণরা মনে করেন, বেশীরভাগ তরুণই দুনীতির বিরুদ্ধে ও সততার প্রশ্নে শ্রদ্ধাশীল হলেও অনেকেই রাজনীতি-আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনার কারণে বাস্তবজীবনে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব ধরে রাখতে পারছেন না।
সংবাদ সমম্মেলনে টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, যুব সমাজের এতো বড় একটা অংশ বলছে তারা এ সমস্ত বিষয়গুলো বিশ্বাস করে কিন্তু চর্চা করতে পারে না। তার মানে আমাদের কতটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে তারা যে এ চর্চা করতে পারছেন না সেটার জন্য দায়ী উপাদানগুলো কি। এবং সেগুলো দূর করার চেষ্টা অামাদের অব্যাহত রাখতে হবে।
জরিপে তরুণেরা সততার ক্ষেত্রে রাজনীতি,আইনশৃঙ্খলা সংস্থা, ভূমি প্রশাসন এবং বিচারিক সেবার ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাব পোষন করেছেন।
এই জরিপ ফলাফলকে ইতিবাচক গণ্য করে এদেশের ইতিহাসে তরুণদের গৌরবজ্জল ঐতিহ্যই উঠে এসেছে বলে মনে করছে টিআইবি। আর এদেশের উন্নয়নে বিপুল সংখ্যক তরুণের দুর্নীতি বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগানোর তাগিদ টিআইবি’র।