মঙ্গলবার রাত ৮ টা। এফডিসির পরিচালক সমিতির ঠিক বিপরীতে ১ নম্বর শুটিং ফ্লোর। মূল দরজা মাড়িয়ে ভেতরে যেতেই চোখে পড়লো অনেক মানুষের জটলা। কেউ ক্যামেরা, কেউ লাইট নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। চারপাশে বিভিন্ন ব্যারেল ও প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
বোঝাই যাচ্ছে, হয়তো কিছু আগে এখানে গোলাগুলি হয়েছে! কেউ এসে এসব তছনছ করেছে। খানিক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন চলচ্চিত্রের প্রবীণ মারপিট পরিচালক আরমান। তখন বুঝতে বাকি থাকলো না, এখানে সিনেমার ফাইটিং দৃশ্য হচ্ছে! পেছনে বসে চায়ে চুমুক দিচ্ছিলেন পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী। তিনি বলছিলেন, এখানে ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবির শুটিং হচ্ছে। এই ছবির পরিচালক তিনি।
কথায় কথায় চলে এলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িনা শিরিন শিলা। অন্য সময় দুজনে হাসিখুশি থাকলেও তখন তাদের কিছুটা রাশভারী দেখাচ্ছিল। সবকিছু গুছিয়ে মারপিট পরিচালকের কথামতো অ্যাকশন শট দিয়ে মেকআপ রুমে বসে নায়ক ইমন জানালেন, তিনি এই ছবিতে একজন সৎ ইনকাম ট্যাক্স অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছেন। আমি ও শিলা দুজনেই দুর্নীতি দমন অভিযানে নেমেছি।
পাশ থেকে নায়িকা শিরিন শিলা বললেন, এই ছবিতে ইমন ও আমি একসঙ্গে ইনকাম ট্যাক্সে চাকরী করি।
আমি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই নতুন চাকরীতে যোগদান করেছি। প্রথমদিনে অভিযানে এসেছি।
আমরা আজ একটা গোডাউনে অভিযানে এসেছি। সেটার শুটিং চলছে।
ইমন বলেন, এ মাসে শুটিং করছি। আগামি মাসে ঢাকার বাইরে গানের শুটিং হবে। এরমধ্যে কথা পরিচালক সাদেক সিদ্দিকীর সঙ্গে। তিনি জানান, ইমন-শিরিন শিলা ছাড়াও চিত্রনায়িকা পপি এই ছবিতে পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করছে। আমিন খান খল চরিত্রে অভিনয় করছে। আরো আছেন অভি, রিপা, সুব্রত, রেবেকা, ববি, ফরহাদ প্রমুখ।
‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য করছেন কমল সরকার। এই ছবিটি প্রযোজনা করছে আনন্দবাজার মাল্টিমিডিয়া। গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয় এফডিসিতে।