দুর্নীতির দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে। রোববার তাকে জেরুজালেমের আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
ইসরায়েলের ইতিহাসে ৭০ বছর বয়সী নেতানিয়াহুই প্রথম নেতা, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যাকে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, ধোঁকাবাজি, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তিনি সব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।
মামলা চলাকালীন বিরোধী পক্ষের দেওয়া পদত্যাগের প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম বারের মতো শপথ গ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।
দেশটিতে তিনটি নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক অবচলাবস্থার পর ঐক্য সরকার গঠিত হয় এবং পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন নেতানিয়াহু। নির্বাচনের পরে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে রাজি হন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গ্যান্টজ।
তবে কিছুদিন পরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো।
কিন্তু তিনি আদালতে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই মামলার লক্ষ্য হলো যেকোনো উপায়ে আমার পতন ঘটানো।
ইসরায়েলের ডানপন্থি লিকুদ দলের নেতা হিসেবে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে আসছেন নেতানিয়াহু।