নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষের আনা দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রমাণ করতে পারলে তিনি যেকোনো শাস্তি মেনে নেবেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথাও জানিয়েছেন একসময়ের সাড়া জাগানো এ ফুটবলার।
৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন নিয়ে সরগরম দেশের ফুটবলাঙ্গন। আগের দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে দেশের ফুটবলকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন এক পক্ষ।
বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও করেছেন রয়েছে তাদের। অভিযোগ প্রত্যাখান করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ফুটবল বাঁচাও কমিটি যে অভিযোগ এনেছে তা প্রমাণ করতে পারলে আমি দশ বছর জেল খাটবো। আর যদি না পারে, তবে আমি যে শাস্তি দেব, তা তাদের মেনে নিতে হবে।’
দুই মেয়াদে আট বছর দেশের ফুটবলের ‘বিগ-বস’র চেয়ারে থাকা সালাউদ্দিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রুচিহীন আক্রমণের অভিযোগ এনেছেন তিনি। তবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তারও অনেক অভিযোগ।
এক টাকাও এদিক ওদিক করার সুযোগ থাকে না উল্লেখ করে, ‘ফিফা এবং এএফসি থেকে বছরে আসে চার কোটি টাকার মতো। স্পন্সর বাবদ পাওয়া যায় ২২ লাখ। ক্লাবগুলোকে দিতে হয় অর্ধেকের বেশি। এরপর কোচের বেতন। আনুষাঙ্গিক খরচ তো আছে।’
দেশের ফুটবলের উন্নতিতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর প্রতিফলন এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৬ এবং মেয়েদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়। ফুটবলের স্বার্থে কোনো কোনো ক্লাবের অন্যায় আবদার এতোদিন সহ্য করলেও আগামীতে কঠোর হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শুধু সাফল্য নয়, সালাউদ্দিন কথা বলেন, জাতীয় দলের ব্যর্থতা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এখানে (জাতীয় দলে) ব্যর্থতাও আছে। জাতীয় দল খুবই খারাপ করেছে। এই দায়টা আমি নিচ্ছি। আমরা যেটা করবো, আমরা যদি ফেরত আসতে পারি, তাহলে জাতীয় দলের কৌশল পরিবর্তন করবো।’
বাফুফে’র নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছে ফিফা এবং এএফসি প্রতিনিধিদল। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে ফিফার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রতিবেশী অনেক দেশের সংগঠকরা অভিযুক্ত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।