ফুটবলের
নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও
অবৈধ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছে মার্কিন অপরাধ তদন্ত বিভাগ এফবিআই। এর
আগে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে সাত কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফিফার বিরুদ্ধে
দুর্নীতির অভিযোগ অনেক দিন ধরেই। এবার মার্কিন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার
হলেন ফিফার সাত কর্মকর্তা। তারা হলেন সহ সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার, নিকোলাস
লিওজ, ইগুইনো ফিগুয়েরেদো, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি হোসে মারিয়া
মারিন, কোস্টারিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডুয়ার্ডে লিও,
ভেনেজুয়েলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রাফায়েল এসকুইভেল এবং কনক্যাকাফ সভাপতি
জেফরি ওয়েব।
এফবিআই বলছে, ২৪ বছর ধরে ফিফার
গভার্নিং বডির কর্মকর্তারা নয় ছয় করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১ শ’ কোটি ডলার।
২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ সত্ত্ব পাইয়ে দেওয়ায় ঘুষের
লেনদেন হয়েছে। গ্রেফতার সাতজনই শুধু নয় আরো সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও
অভিযোগ রয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষের।
আগামীকাল
ফিফা সভাপতি নির্বাচনের আগে দুর্নীতির এই অভিযোগ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে
ফেলেছে ফিফাকে। সুইস পুলিশও নতুন করে খতিয়ে দেখছে অভিযুক্তরা
রাশিয়ায় ২০১৮ বিশ্বকাপ ও কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপ স্বত্ব নিয়ে ঘুষ নিয়েছিলো
কি-না।
অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের ২০ বছরের জেল
হতে পারে। ফুটবলের জন্য এই সময়কে কঠিন আখ্যা দিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ
ব্ল্যাটার বিবৃতিতে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সংস্থাটি থেকে
বরখাস্ত করা হবে।
ফিফা কংগ্রেসের দু’দিন
আগে সংস্থাটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ইউরোপিয়ান ফুটবল
অ্যাসোসিয়েশন ইউয়েফা আজকের মধ্যে ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিলের দাবি
জানিয়েছে। তা না হলে তারা নির্বাচন বয়কটের হুমকি
দিয়েছে।