দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালে, তারই সবচেয়ে বিশ্বস্ত অফিসার এবং প্রধান সহযোগীকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যা নিয়ে দিল্লির রাজনীতির উত্তাপ চরমে উঠেছে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেজরিওয়ালের সংঘাতও বেশি স্পষ্ট হচ্ছে।
৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেন্দ্র কুমার-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের ডেপুটি সেক্রেটারি তরুণ শর্মাও।
রাজেন্দ্র কুমারদের গ্রেফতারের পর উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার অভিযোগ, মোদি দিল্লিতে হারের বদলা নিতে চাইছেন। কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক সাফল্যে ভয় পেয়ে মোদি সরকার আম আদমি পার্টির গায়ে কাদা ছেটাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, রোববারই পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয়েছে। সমীক্ষা বলছে, আপ-ই সেখানে ক্ষমতায় আসবে। গোয়া, গুজরাতেও একই ছবি। তাতেই ভয় পেয়েছে মোদি সরকার।
ক্ষুব্ধ দিল্লি মণীশের আরে অভিযোগ, সরকারের অফিসারদের গ্রেফতার করে, বিনা নোটিসে তাদের বদলি করে দিয়ে প্রশাসনকে পঙ্গু করে ফেলা হচ্ছে। এর আগে কোনো কেন্দ্রীয় সরকার এত নোংরামি করেনি, এত অধঃপতন হয়নি।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা চাপরাশি দিয়েও সরকার চালাব। মরে গেলেও দিল্লির মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’
২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দিল্লি সরকারের বিভিন্ন পদে থাকাকালীন ‘এনডেভর সিস্টেমস’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে সব মিলিয়ে ৯ দশমিক ৫ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন রাজেন্দ্র কুমার। কোনো ক্ষেত্রেই টেন্ডার ডেকে কাজ দেওয়া হয়নি।
প্রথম দফায় ৪৯ দিনের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সে সময়ও রাজেন্দ্র ২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেন। ওই বেসরকারি সংস্থাটি আসলে রাজেন্দ্র কুমারই বেনামে চালাতেন বলে সিবিআই অফিসারদের সন্দেহ।