পাকিস্তানীদের দুঃশাসন এবং শোষণের আরেক নাম ছিলো দুর্নীতি। রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।
পঁচাত্তরে তিনি নিহত হওয়ার পর অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুর্নীতির মূলোৎপাটনের বিপরীতে তা আরো জেঁকে বসে। নতুন করে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্য কতোটা পূরণ হয়েছে?
‘চাটার দল সব খেয়ে ফেলে’, জাতির জনকের এই খেদ যেনো কখনোই শেষ হবার নয়। ছোট কাজ থেকে বড় প্রকল্প দুর্নীতির বসবাসের অভিযোগ সব জায়গায়। দুর্নীতির ধারণা সূচকও তাই বলছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ইনডেক্সে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। দুদক চেয়ারম্যানও বলছেন, সবাই দুর্নীতিবাজ না হলেও দেশে দুর্নীতি আছে। রাশ টেনে ধরতে না পারলে উন্নতির চেয়ে ক্ষমতাবান হবে দুর্নীতি।
দুর্নীতির ধারণা সূচক উল্টোভাবে অর্থাৎ ভালোর দিক থেকে দেখলে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল মনে করছেন, একটি দেশে উন্নতির সূচক বাড়লে দুনীর্তি বাড়ে, সেটিকে নির্মূল করতে না পারলে সরকারের অর্জন শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।
দুদক এবং টিআইবি একই সুরে বলছে যে রাষ্ট্রে পরিসেবার দপ্তরগুলোতে অনিয়ম বন্ধ না হলে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে যাবে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: