সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমের মতো ক্রিকেটার ছিলেন না ওয়ানডে সিরিজের দলে। তারপরও নিজেদের সেরা ফরম্যাট বলে প্রত্যাশা ছিল উঁচুতেই। তামিম ইকবালের দল প্রত্যাশার দাবি মিটিয়েছে পুরোপুরি। টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ বাজেভাবে হারলেও ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৮ রানে গুঁড়িয়ে ৯ উইকেটে জয় তুলেছে টিম টাইগার্স। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রোববার একই মাঠে। ক্যারিবীয়দের এবার হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে।
১০৯ রানের সহজ লক্ষ্য সফরকারীরা টপকায় ২০.৪ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। তামিম ৬২ বলে ৫০ ও লিটন দাস ২৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ বলে ২০ রান করে আউট হন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজ মানেই বাংলাদেশের সামনে থাকে অর্জনের হাতছানি। ২০১৮ সালে সবশেষ সফরে ২-১এ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ এবং ওই সিরিজটি দিয়েই বিদেশের মাটিতে টানা ৯ বছরের সিরিজ হারের আক্ষেপ ভুলেছিল টাইগার দল। এবারও ৫০ ওভারের লড়াইয়ে জয়ী বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের মতোই বলে-ব্যাটে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক দল। টস জিতে আগে বোলিং বেছে নেন তামিম। উইকেট যে স্পিন-সহায়ক হবে সেটি আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন অধিনায়ক। শুরুতেই বল হাতে তুলে দেন অনিয়মিত অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলার সুযোগ হয় এ ব্যাটিং অলরাউন্ডারের।
কাইল মেয়ার্সকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মোসাদ্দেকই। পরে নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মাতেন উইকেট শিকারের উৎসবে। দুজন মিলে দাঁড়াতেই দেননি ক্যারিবীয়দের। আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা কিমো পল সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শাই হোপ করেন ১৮ রান।
মিরাজ চারটি, নাসুম তিনটি ও শরিফুল ইসলাম নেন একটি উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ব্যাটারদের চাপে রাখেন নাসুম। তিনিই হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।