চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘দুর্ঘটনার’ পেছনে উইকেটেরও দোষ দেখছেন কাপালি

‘মনে হয়েছে তিন দিনের ম্যাচ খেলছি’

সিলেট থেকে: মিরপুরে উত্তাপ ছড়িয়ে বিপিএল সিলেটে যেতেই বিবর্ণ। প্রথম দিনের দুটি ম্যাচ হয়েছে একপেশে। টার্নিং ও মন্থর উইকেটের ফায়দা নিয়ে বোলাররা দেখিয়েছেন দাপট। ব্যাটসম্যানরা ছিলেন বোতলবন্দী। টি-টুয়েন্টি উপভোগের আসল উপাদানই ছিল অনুপস্থিত!

রাতের খেলায় হোম টিম সিলেট সিক্সার্স মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ থেকে দর্শকদের চোখ সরে গেছে স্বাভাবিকভাবেই। চার-ছক্কার টি-টুয়েন্টি উপভোগ করতে এসে ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্ব দেখে হতাশ হয়ে ফিরেছেন মাঠের দর্শকরা। এমন ভরাডুবিকে ‘স্রেফ দুর্ঘটনা’ হিসেবে দেখার পাশাপাশি উইকেটেরও দোষ দেখছেন ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা থেকে সিলেটকে উদ্ধার করা অলক কাপালি।

‘মিরপুরে প্রথম তিন ম্যাচে একটি জিতলেও আমরা কিন্তু খারাপ খেলিনি। আজ (সিলেটে) যেটা হয়েছে তা দুর্ঘটনা। এখানেই সব শেষ তা না। সামনে সিলেটে আরও তিন ম্যাচ আছে আমাদের। আশা করি ভালভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

ম্যাচের উইকেট প্রসঙ্গে সিলেটের ঘরের ছেলে কাপালি অনুযোগের সুরে বললেন, ‘সিলেটে আসার আগেই আলাপ করেছিলাম গত বছর যেমন ফ্ল্যাট উইকেট ছিল, টি-টুয়েন্টির জন্য সেরা উইকেট ছিল। সেভাবে পরিকল্পনা করে আসছি যে এখানকার উইকেটে সুন্দরভাবে ব্যাটে বল আসবে। উইকেট আপ টু দ্য মার্ক না। আমার কাছে একটু সমস্যা (উইকেট) মনে হয়েছে। যেভাবে বল টার্ন করছিল, মনে হয়েছে তিন দিনের ম্যাচ খেলছি।’

৮ উইকেটে হার দেখা ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের কাপালি ৩১ বলে করেন ৩৩ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান এসেছে লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। তাতে বোঝাই যাচ্ছে ২২ গজে কতটা অসহায় ছিল স্বাগতিক শিবির। ২২ রান তুলতেই হারাতে হয়েছিল ৭ উইকেট। ঘরের ছেলে হাল না ধরলে কতটা লজ্জায় (বিপিএলে সর্বনিম্ন রান ৪৪) পড়ত সিলেট, সেটি সহজেই অনুমেয়।

বিপিএলের পঞ্চম আসরের পর্দা উঠেছিল সিলেট থেকে। দেখা গিয়েছিল রানবন্যা। গত মাসে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজেও ব্যাটসম্যানরা ছিলেন মারমুখী। অথচ একই ভেন্যুতে ষষ্ঠ আসরের শুরুটা হল ম্যাড়মেড়ে।