চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দূর্গম পাহাড়ী ও নদী পথে ইয়াবা আনছে ৮ টি চিহ্নিত সিন্ডিকেট

মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে দূর্গম পাহাড়ী পথ ব্যবহার করা হচ্ছে। টেকনাফের নাফনদী ও সমুদ্র পয়েন্টের পাশাপাশি এ দুর্গম পয়েন্ট ব্যবহার করছে ৮ টি সিন্ডিকেট।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রেরিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দুর্গম ওইসব পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা পাচারের জন্য গঠিত হয়েছে ৮ টি পৃথক সিন্ডিকেট। রামু উপজেলার ৮ ব্যক্তি সরাসরি এসব সিন্ডিকেটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতৃত্বদানকারি ওই ৮ ব্যক্তি হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার মনির আহমদের পুত্র জহির উদ্দিন (৩৬) ও জয়নাল উদ্দিন (৩৩), একই এলাকার মনিরুজ্জামানের পুত্র মোহাম্মদ আলী (৩২), ছোট জুমছড়ির মৃত দোলন আহমদের পুত্র সুরত আলম (৫৫), কমলাপাড়ার ফকির আহমদের পুত্র নুরুল আলম (৩৫), হাজিরপাড়ার শাহাব মিয়ার পুত্র আবুল কালাম (৫০), ভালবাশা এলাকার হাশেম মেম্বারের পুত্র জসিম উদ্দিন (৪৫), থালিপাড়ার আবদুল হাকিমের পুত্র আবদুর রহিম (৩৫)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এ প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শও দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, স্থল পথে ইয়াবা পাচারকারিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী এড়াতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী পয়েন্ট ব্যবহার করছে। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, আছারতলী, ফুলতলী এলাকার দূর্গম জঙ্গল অতিক্রম করে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও ঈদগড়ে মজুদ করা হচ্ছে এসব ইয়াবা। ওখান থেকে এসব ইয়াবা যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সারাদেশ নিয়ে তৈরি হওয়া প্রতিবেদনটি টেকনাফের ৫৪ জন গডফাদারও স্থান পেয়েছে। এ তালিকার সূত্র ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার উর্ধ্বতন একটি দল মাঠ পর্যায়ে কাজও করছেন।