যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে নর্দমা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি তিন বছর বয়সী নিখোঁজ শিশু শেরিন ম্যাথিউসের। দুধ খেতে রাজি না হওয়ায় সেখানেই শিশুটিকে শাস্তি হিসেবে গভীর রাতে রেখে এসেছিলেন তার বাবা ওয়েসলি ম্যাথিউস।
প্রাথমিক বক্তব্যে ওয়েসলি পুলিশকে জানান, গত ৭ অক্টোবর রাতের বেলা খাবারের পর দুধ খেতে রাজি না হওয়ায় রাগ করে তিনি পালক কন্যা শেরিনকে ঘর থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে রেললাইনের ধারে একা রেখে আসেন, তাও রাত ৩টার দিকে! তারপর থেকেই নিখোঁজ শেরিন।
মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর কিছুদিন পর টেক্সাস পুলিশকে জানানোর পর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। কিন্তু প্রথমে তথ্য দিলেও পরে ম্যাথিউস দম্পতি পুলিশকে সবরকম সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেয় বলে জানায় টেক্সাস পুলিশ। অবশেষে রোববার টেক্সাসের রিচার্ডসন অঞ্চলের একটি নর্দমায় খুঁজে পাওয়া যায় এক শিশুর লাশ। লাশটির ময়নাতদন্ত করে পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার মৃত্যুর কারণ এবং দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা সেটাও দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শেরিনের পালক বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবা ওয়েসলির বিরুদ্ধে একটি শিশুকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। আর কাউকে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আটক করা হয়নি।
শেরিনকে ভারত থেকে দত্তক এনেছিলেন ম্যাথিউস দম্পতি। তার অন্তর্ধান ও সম্ভাব্য মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা পুলিশ প্রকাশ করার পর ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ মেট্রোপ্লেক্স এলাকার দক্ষিণ ভারতীয় কমিউনিটির পাশাপাশি ওই এলাকার মানুষের মধ্যে বেদনার পরিবেশ।
শেরিন নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট দায়েরের পরই ওই পরিবারের নিজের চার বছর বয়সী শিশু কন্যাকে রাষ্ট্রীয় অভিভাবকত্বের অধীনে নিয়ে নেয়া হয়। শেরিনের মা এখন আদালতে নিজের মেয়ের অভিভাবকত্ব ফিরে পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।