একজন ৩০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ভারতের মাটিতে রান তাড়া করতে নেমে ভিভ রিচার্ডসের ১০৯ রানের পর তিনিই এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক, ১১৯। আরেক জন রোশেন ডি সিলভা। অভিষেক ম্যাচে অপরাজিত ৭৪ করে ম্যাচ ড্র করেছেন।
শেষ দিন জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে করতে হতো ৩৭৯ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। অসম্ভব এই কাজটি করার চেয়ে দলটি ড্র’র দিকেই মন দেয়। এবং তাতে সফল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ড্র হয়েছিল। দ্বিতীয়টি ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। শেষটিও ড্র হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করল কোহলির দল।
ম্যাচ বাঁচাতে নেমে ধনঞ্জয়া ২১৯ বলে ১১৯ করেন। ১৫টি চার একটি ছয়ে এই রান করেন তিনি। পরে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ফিরে যাওয়ার পর আবার চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত ফিরে যান লাকমল (০), ম্যাথিউস (১)। অধিনায়ক চান্দিমালও ফেরেন অল্পতে (৩৬)।
এরপর টিকে থাকার লড়াই শুরু করেন ডিকেভেল্লা এবং রোশেন সিলভা। সিলভা ১৫৪ বল খেলে ৭৪ করেন। ডিকেভেল্লা ৭২ বল থেকে ৪৪।
এই টেস্টে আগে ব্যাট করে ম্যাচসেরা বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরি (২৪৬) আর মুরালি বিজয়ের ১৫৫ রানে ভর করে সাত উইকেটে ৫৩৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
জবাব দিতে নেমে ইশান্ত শর্মা, অশ্বিন এবং সামির বোলিং তোপে ৩৭৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ইশান্ত আর অশ্বিন তিনটি করে উইকেট নেন। সামি, জাদেজা নেন দুটি করে।
লঙ্কানদের হয়ে ম্যাথিউস ২৬৮ বল খেলে ১১১ রান করেন। চান্দিমাল ১৬৪ করতে ৩৬১টি বল মোকাবিলা করেন।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস টেনে নেয় ২৪৬ রান পর্যন্ত। কোহলি এই ইনিংসে ৫০ করেন। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মাও। তার আগে ওপেনার শেখর ধাওয়ান করেন ৬৭। মিডল অর্ডারে পূজারা ৪৯ রানে ফেরেন।
চতুর্থ দিন বিকেলে ৪১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাদিরা সামারাবিক্রম (৫) ষষ্ট ওভারে ফিরে যান। সামির বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দেন। করুনারত্নেকে (১৩) ফেরান জাদেজা। এরপর লাকমলকেও (০) ফেরান জাদেজা।