দেশেই করোনার টিকার ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চায় সরকার। তাই দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা দেখতে দেশের স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টরা।
ইনসেপ্টা কর্তৃপক্ষ বলছে, ভ্যাকসিনের বাল্ক পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষম তারা।
বুধবার দুপরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর অদূরে সাভারে দেশের স্বনামখ্যাত ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট পরিদর্শনে যান।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন উৎপাদন সক্ষমতা তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টটেশন উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। তিনি জানান: সরকার দেশের জনগণের জন্য করোনার টিকা সহজলভ্য করতে চায়। তাই দেশীয় ঔষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে চায় সরকার।
ইনসেপ্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির বলছেন: বাল্ক বা ভ্যাকসিনের সিড পেলে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাসের মধ্যে করোনার টিকা উৎপাদনে সক্ষম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন: দেশ থেকে করোনা নিমূর্লে টিকা গ্রহণকারীর বয়স ৪০ এর নিচে নামিয়ে আনারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ফলে আরও ৪ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য ৮ কোটি ডোজ করোনার টিকার প্রয়োজন হবে।.
পরিদশর্নকালে উপস্থিত ছিলেন ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার ও খুরশীদ আলমসহ অনেকে।
২০১১ সালের জুন মাস থেকে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড সাভারে কার্যক্রম শুরু করে। এই প্লান্ট এখন পর্যন্ত ১৩টি ভ্যাকসিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিন) সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে।