জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন গণজাগরণ মঞ্চ কর্মী ও ব্লগার শাম্মী হক। এতোদিন ফেসবুক ও মোবাইলে হুমকি পেয়ে আসলেও সেগুলোকে তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি, কিন্তু গতকাল দুই যুবক তাকে অনুসরণ করলে তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ব্লগে লেখালেখির চেয়ে মানবতাবিরোধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের হয়ে রাজপথে সরব থাকা, মৌলবাদ এবং ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার থাকাতেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী শাম্মী হক।
জিডির বিষয়ে শাম্মী বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় দুই যুবক আমাকে ফলো (অনুসরণ) করায় শঙ্কিত হয়েই মোহাম্মদপুর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি’।
শাম্মী বলেন, গতকাল ধানমণ্ডির মীনা বাজারে যাওয়ার সময় দুই যুবক আমাকে ফলো করছিলো। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি একটি শপিং মলে ঢুকে পড়ি। অনুসরণকারী ওই দুই যুবকের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেছি।
শাম্মী আরও জানান, থানায় জিডি করার সময় ওই দুজনের ছবিও জমা দিয়েছি। ওই দুই যুবকের মধ্যে একজনকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে পারার কথা তাকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার এক এসআই।
নিজের শঙ্কার কথা বোঝাতে গিয়ে শাম্মী বলেন,‘একের পর এক ব্লগার হত্যা এবং এ বিষয়ে সরকারের অনীহার প্রতিবাদ করে আসছি। আর মৌলবাদীরা তো সেই কবে থেকেই চিহ্নিত করে রেখেছে। গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে তাতে এখন মোবাইল এবং ফেসবুক ব্যবহার করতেও অজানা শঙ্কা কাজ করছে। আর অনুসরণের ঘটনার পর বাসার বাইরে বের হতে দ্বিধা কাজ করাটাই স্বাভাবিক। তবে আমি দেশ ছাড়তে চাই না’।
২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের সময় থেকেই গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিটি কর্মসূচিতে রাজপথে দেখা গেছে শাম্মী হককে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে পাকিস্তানের বক্তব্যের প্রতিবাদে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে শুরু করে ব্লগার হত্যা বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার অভিজিৎ ও নীলাদ্রি হত্যার প্রতিবাদে রাজপথ এবং অনলাইনে সরব শাম্মী।