লুই কানের করা জাতীয় সংসদের মূল নকশা এখন ঢাকায়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেছেন, শুধু জিয়াউর রহমানের কবর নয় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে লুই কানের নকশার বাইরের সব স্থাপনা দু’মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে। তবে বিএনপির বক্তব্য, সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো হলে জনগণ মেনে নেবে না।
মার্কিন স্থপতি লুই ইসাডোর কানের তৈরি করা জাতীয় সংসদের মূল নকশা পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং স্থাপত্য অধিদপ্তর মূল নকশা যাচাই বাছাই করে দ্রুতই সরকারকে একটি প্রতিবেদন দেবে। তারপর গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিরিয়ার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে যারা লুই আই কানের সঙ্গে কাজ করেছে তারাই সব বুঝিয়ে দিয়েছে। পরিস্কারভাবে ম্যাপ ও ছবিগুলো তারা দিয়ে দিয়েছে। মাননীয় স্পিকারের সঙ্গে আমরা বসবো, যারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আছে তাদের সঙ্গে বসার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।
১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জন নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কবর দেয়া হয়েছে। শেরেবাংলা নগরে আছে লুই কানের নকশাবহির্ভূত আরো ৭টি স্থাপনা।
মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, জিয়া ছাড়াও ওখানে আরো সব কবর আছে। জিয়াই মূল বিষয় নয়।নকশাবহির্ভূত হলে ওখানে কবর কিভাবে থাকবে? রাখা কি উচিত? সামঞ্জস্যহীন যেগুলো আছে সেগুলো হয়তো রাখবো, বাকিগুলো উঠিয়ে দিবো।দুই মাসের মধ্যেই আমরা স্টেপ নিবো।
মূল নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের পাশাপাশি শেরেবাংলা নগরে নতুন সচিবালয় হওয়ার কথা।