করোনা মহামারীতে বন্ধ থাকার দুই বছর পর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত।
বিবিসি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে করোনা ভ্যাকসিন নেয়া এবং নেগেটিভ সনদধারী বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশের নাগরিক দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবে।
যদিও নিউজিল্যান্ডের স্থানীয়রা গত মার্চ মাস থেকে দেশের ভেতরে এবং বাইরে ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছিল।
আজ সোমবার অকল্যান্ড এয়ারপোর্টে ভ্রমণকারীদের সাথে দেশটিতে বসবাসকারীদের দীর্ঘ সময়ের পর সাক্ষাতে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হতে দেখা যায়।
ব্রিটিশ নাগরিক গার্থ হ্যালিডে, যিনি গত ৩০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছেন তিনি, স্ত্রী ও তাদের ছেলে, পুত্রবধূ এবং ১৮মাস বয়সী নাতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে এসেছেন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে গার্থ বলেন, যতই বয়স বাড়ে মানুষের কাছে তার পরিবারের গুরুত্ব ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমি এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং আমার পরবর্তী তিন প্রজন্ম সীমান্ত খুলে দেয়ায় আজ এক হতে পারছি।
সীমান্ত উন্মুক্ত করার আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ড এখন বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি ছড়াতে শুরু করলে ২০২০ সালের মার্চ থেকে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তারপর থেকে সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল। যদিও এ সময়ের মধ্যে সীমিত আকারে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ট্রাভেল বাবল চালু হয়।
নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক পর্যটনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং পর্যটন শিল্পের দায়িত্বরতরা বলেছেন, সীমান্ত উন্মুক্তের সিদ্ধান্তের পর তারা পর্যটন ভ্রমণ সংক্রান্ত কাজ পুনরায় শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে।
এয়ার নিউজিল্যান্ডের একজন মুখপাত্র লিয়ান গেরাঘটি বলেন, আজ সোমবার দেশে অবতরণ করা প্রথম ফ্লাইটে পর্যটকের পাশাপাশি ফিরে আসা স্থানীয় নাগরিকও ছিল।
আন্তর্জাতিক পর্যটকরা আমাদের সুন্দর দেশটিতে আবার আসতে সক্ষম হওয়ার বিষয়টি খুবই ভালো বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।