যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়ান স্টেফ বলেছেন: বিনিয়োগ পরিবেশ, মেধাস্বত্ত্ব অধিকার ও শ্রমিকদের বিষয়গুলো সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে চলা ও আমাদের বাণিজ্য মিশনে কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণই এর প্রমাণ।
বাংলাদেশ সফর করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য সার্ভিসের মহাপরিচালক ইয়ান স্টেফ এসব কথা বলেন।
‘ট্রেড উইন্ডস ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম অ্যান্ড মিশন’-এ অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে ১১ থেকে ১৩ মে ঢাকা সফর করেন। ‘ট্রেড উইন্ডস’ বিষয়ক আয়োজনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ টির বেশি ‘বিজনেস-টু-বিজনেস’ বৈঠক হয়।
সফরকালে ইয়ান স্টেফ বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং মেধাস্বত্ত্ব অধিকারসহ বিনিয়োগ পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ৮শ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অবশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ এবং ব্যবসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ইয়ান স্টেফ গত সোমবার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রীর কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা এবং বাণিজ্যসচিব মফিজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাত করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এটি ছিল ইয়ান স্টেফের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি জানান, বাংলাদেশের জনগণের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা তাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ঘটনায় তিনি অভিভূত। রাষ্ট্রদূত মিলারের আয়োজনে একটি ইফতার পার্টিতেও যোগ দেন তিনি।
ট্রেড উইন্ডস ইন্দো-প্যাসিফিক সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের পাঠানো প্রথম বড় বাণিজ্য মিশন। বাংলাদেশ যে ন্যায্য ও পারস্পরিক বাণিজ্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে প্রস্তুত, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আস্থা এ মিশনে তাদের বড় সংখ্যায় অংশগ্রহণ থেকেই বোঝা যায়। ৬ মে ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু এবং ১৩ মে ঢাকায় শেষ হয় বাণিজ্য মিশনটি।