লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের পদে থাকার বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করে তার নির্বাচনী আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না এবং বিএনপির হারুনুর রশীদের সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ ঘোষনা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনকে কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
দুই সংসদ সদস্যের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক দুটি রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল জারি করেন।
সংসদ সদস্য পাপুলকে নিয়ে করা রিটে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। আর সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে নিয়ে করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন।
আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান পরে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টে রিট করেন আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া। যিনি গত সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। আদালত তার সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রুল জারি করলেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
অন্যদিকে আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিদানের ৬৬(২)(ঘ)অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সাজা হয়েছে পাঁচ বছর। ফলে তিনি আর সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারেন না। তাই এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ একটি রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
এর আগে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে গত বছর ২১ অক্টোবর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। সেই সাথে হারুনুর রশীদকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।