কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমা বোনার। প্রথমজনের বয়স ৩০-এর কাছাকাছি, পরেরজন ত্রিশ পেরিয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত দুজনই। অভিষেকেই ত্রাতা হয়ে উঠেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। বোঝা হয়ে চেপে বসেছেন বাংলাদেশ বোলারদের উপর।
চতুর্থ দিন বিকেলে ঝটপট ৩ উইকেট তুলে মেহেদী হাসান মিরাজ যে আশার সঞ্চার করেছিলেন, শেষদিনে দুই সেশন উইকেটশূন্য থেকে মাঠে বিমর্ষ স্বাগতিকরা। বিপরীতে ক্যারিবীয়রা দেখতে পারছে জয়ের স্বপ্নও!
সকালের সেশনে টাইগারদের ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। নিশ্চিত সাফল্যের রিভিউও নেয়নি। সেসব কাজে লাগিয়ে সাফল্য তুলেছে সফরকারীরা। করে চলেছে দারুণ ব্যাটিং।
৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ রোববার ২৬৬ রান তুলে চা পানের বিরতিতে গেছে। জিততে আরও ১২৯ রান চাই সফরকারীদের, হাতে অক্ষত ৭ উইকেট। খেলা বাকি আছে পুরো একটি সেশন, প্রায় ৩২ ওভার।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১১০ রানে পঞ্চম দিনের শুরু করা উইন্ডিজ কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমা বোনারের অবিচ্ছিন্ন ২০৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ত্রাস ছড়িয়ে চলেছে।
অভিষেকে মেয়ার্স তুলেছেন সেঞ্চুরি, অপরাজিত ১১৭ রানের প্রতিরোধ নামের পাশে। এনক্রুমা অপরাজিত শতকের সুবাস ছড়িয়ে ৭৯ রানে।
সকালের সেশনে সাফল্যের তিন সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। মেয়ার্স তখন ৪৭ রানে, তাইজুলের বলে এলবির আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। টিভি রিপ্লে বলছে রিভিউ নিলেই মিলত সাফল্য।
দুই রান পর মেয়ার্স জীবন পান স্লিপে। মিরাজের বলে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ শান্ত। বোনার ২৫ রানে থাকার সময় নাঈমের বল আঘাত হেনেছিল তার প্যাডে, রিভিউ নিলে এবারও সাফল্য পেত বাংলাদেশ।
সেই সুযোগগুলো আক্ষেপ কতটা বাড়ায়, বাকি সেশনে সেটাই এখন দেখার!