ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে নাভিশ্বাস উঠেছিল বাংলাদেশের। ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা, কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ২-০তে সিরিজ হারের যন্ত্রণা বয়ে বেড়ানো ছিল দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। চার মাস পর ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের পেয়ে সেটি ফিরিয়ে দিয়েছে টিম টাইগার্স। র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়ে থাকা দলকে হোয়াইটওয়াশ করে দুঃখ ভোলার তৃপ্তি সাকিব আল হাসানের।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে উইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, বিভীষিকার সফরের কথা ভুলতে ও ভোলাতে দলের কাছে চেয়েছিলেন বিশেষ কিছু।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমরা যেকজন ছিলাম, কেউই ওই ধরনের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করিনি। ওভাবে হারার পর মিটিং করেছি, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এবার দেশের মাটিতে সুযোগ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। ওই কারণেই সবাই বেশি করে চাচ্ছিলাম, জিনিসটা যাতে মানুষ ভুলতে পারে বা বুঝতে পারে তারা নিজেদের মাঠে তাদেরটা করেছে, আমরা আমাদের মাঠে যতটুকু সম্ভব ততটা করতে পেরেছি।’
উইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকায় চার দিনের আগেই শেষ হয়েছে দুটি টেস্ট। এবার দেশের মাটিতেও তাই। চট্টগ্রাম ও মিরপুরে টেস্ট শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনের চা-বিরতির আগেই। দুটি সিরিজের মধ্যে সাদৃশ্য থাকলেও এটিকে প্রতিশোধ মনে করেন না সাকিব।
‘এটা জবাব দেয়া না। কিন্তু এখন যেটা হয় হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের একটা সুবিধা থাকে। ওরা ওদের হোম অ্যাডভান্টেজ নিতে পেরেছে, আমরা আমাদের হোমে অ্যাডভান্টেজ নিতে পেরেছি। ওভাবে(অসহায় আত্মসমর্পণ) হারার পর অবশ্যই অনেক কিছু প্রমাণ করার ছিল, বিশেষ করে দেশের মাটিতে; সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
‘সেটার জন্য আমি সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাই। কোচিংস্টাফ থেকে শুরু করে সবাই যে জিনিসটা বিশ্বাস করেছে সিরিজ শুরুর আগে। সত্যি কথা বলতে খুব করে চাইছিলাম এই সিরিজটা, সবার কাছ থেকে অনেক বেশি করে চাচ্ছিলাম। সবাই যার যার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কেউ হয়তো সফল হবে কেউ হবে না। কিন্তু সবার মনের ভেতরে ওই জিনিসটা ছিল, দলের জেতার জন্য অন্তত অবদান রাখার ব্যাপারটি। যদিও সবসময়ই সেটা চায় খেলোয়াড়রা, কিন্তু এই সিরিজে আলাদারকম যে একটা আগ্রহ ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছিল।’ সফরকারীদের যন্ত্রণা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি এভাবেই জানালেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক।