বিচারপতিদের দীর্ঘ ছুটি নিয়ে অসন্তোষ করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বিচারালয়ে দীর্ঘ ছুটির কারণেই সর্বোচ্চ আদালতে ‘মামলা জট’ কমছেনা বলে মনে করেন তিনি। সবার সহযোগিতা পেলে ছুটি কমানোর ইস্যুতে কাজ করবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠনের বৈশাখি উৎসবে আইনজীবীদের দাবী এবং অভিযোগগুলো নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে কার্যকর করতে তিনি কেবল বিচারকদের নয় বরং সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “৩ লক্ষ মামলা নিয়ে আমরা বিলাসিতা করতে পারিনা। বছরে ১৮৬ দিন ছুটি নিতে পারি না। এর সাথে শুক্র-শনি যোগ করি, সরকারি ছুটি যোগ করি এবং একজন বিচারকের ২০ দিন ক্যাজুয়্যাল লিভ যোগ করি। তাহলে ছয় মাসেরও বেশি সময় ছুটি একজন বিচারক ভোগ করেন। এটা বাস্তবতা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরে ১০ লক্ষ মামলা হবে জমা হবে আদালতে।”
রাজনৈতিক দলগুলোও কখনো কখনো আইনের শাসনের পক্ষে থাকছে না উল্লেখ করে তিনি মামলা জট দূর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা এক টোনে কথা বলেন না কেন? আপনাদের মধ্যে ইউনিটি না থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। সবাইকেই ‘রুল অব ল’ মানতে হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে নিয়ম কানুন মানতে হবে।
বাংলাদেশের সংষ্কৃতি ও বৈশাখি আয়োজনে জঙ্গী হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এদেশ এবং এদেশের সংবিধান এমন নয় এ ধরনের হামলায় থমকে যাবে।” আগামীবার সুপ্রিম কোর্টেই বৈশাখি মেলার সুপারিশও করেন আইনজীবীরা।