প্রকাশক দীপন হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলব, অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতাদের সনাক্ত করেছে ডিবি। কিলিং মিশনে অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দিয়েছিলো কথিত বড় ভাই সাগর। কেবল লেখক অভিজিতের বই প্রকাশের অপরাধেই দীপনকে হত্যার টার্গেট করে আনসার আল ইসলাম।
রাজধানীর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা অফিসে নৃশংসভাবে নিহত হন প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। একই সময় লালমাটিয়ার একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা হয় আরেক প্রকাশক টুটুলকে।
ডিবির জালে আটক আনসার আল ইসলাম স্লিপার সেল সদস্য সিফাত ওরফে শামীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ডিবিকে জানিয়েছিলো কিলিং মিশন তত্বাবধান করে বড় ভাই সাগর। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন মাষ্টার মাইন্ড চাকুরীচ্যুত পলাতক মেজর জিয়ার সাংগঠনিক নাম সাগর। ডিবির কাছে একই তথ্য দিয়ে কিলারদের নাম পরিচয় জানিয়েছে আনসার আল ইসলামের আরেক নেতা কিলার আব্দুস সবুর।
ডিবি এডিশনাল কমিশনার দিদার আহমেদ বলেন, সবুর স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে সে নিজে জড়িত ছিল এবং আরো পাঁচজন মিলে প্রকাশক দীপন ও টুটুলকে হত্যা করেছে।
বড় ভাই সাগরের হয়ে কিলারদের প্রশিক্ষণ ও অর্থের জোগান দেয় রাজু।
দিদার আহমেদ বলেন, আমরা অর্থদাতার সাংগঠনিক নাম পেয়েছি। এই নাম থেকে আসল নাম বের করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কাছে দুজন গ্রেফতার আছে, বাকি পাঁচজন যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলবো না।
জঙ্গি সবুর আগেও গ্রেফতার হয়ে টুটুল হত্যায় স্বীকারোক্তি দেয়। তখন জনিয়েছিলো দীপন হত্যা পরিকল্পনায় থাকলেও হত্যাকাণ্ডের সময় সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না।