‘দিলমে ঢাকা হামকা ঢাকা’ (হৃদয়ে ঢাকা আমাদের ঢাকা) শীর্ষক স্লোগানে শুরু হয়েছে ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি ও সাকরাইন উৎসব। রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন মাঠ থেকে ঘুড়ি র্যালির মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী সাকরাইন উৎসব শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এই উৎসব উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন: একসময় গ্রামীণ জনপদের প্রতিটা বাড়িতে ঘুড়ি থাকত। বিকেল হলেই বাহারি সব ঘুড়ির প্রদর্শনীতে মেতে উঠত কিশোর যুবকেরা। কোনটার লেজ বড়, কোনটার নেজ নেই। এইসব ঘুড়ি উড়াতে প্রয়োজন হতো বিশেষ দক্ষতার। নাহলে ঠিকমতো ঘুড়ি উড়ত না। ঘুড়ি ওড়ানোর মধ্যদিয়ে ছেলেরা কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জন করতো।
সবাইকে উৎসবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন: উৎসবের কোন জাত ধর্ম নেই। আমাদের উৎসবের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিসেস ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাজী মোঃ হুমায়ুন কবীর, কবি নাসিমা বানু, ঢাকাবাসীর উপদেষ্টা আলহাজ্ব আলাউদ্দিন মালিক ও হাজী রমজান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাবাসী ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ শুকুর সালেক। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
শুকুর সালেহ জানান: বিকেলে হাজারীবাগে কালাপাহাড়, চোখদার, চমকিদার, সাপঘুড়ি, ড্রাগনঘুড়ি, লেজদার, লালপাহাড়, মালাদারসহ দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির ঘুড়ি ওড়ানো হবে।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন