জুভেন্টাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। তবে চলতি মৌসুমেই দিবালার সাথে করা দীর্ঘ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে জুভেন্টাসের। সেই সুযোগ লুফে নিতে তার গতিবিধির দিকে বিশেষ নজর রাখছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। তবে বার্সার আগে থেকেই ইন্টার মিলানসহ বেশ কিছু ক্লাব দিবালাকে দলে টানতে মুখিয়ে আছে। ফলে তাকে পেতে হলে বার্সাকে আটঘাট বেধে লড়াইয়ে নামতে হবে।
পালেরমো থেকে ২০১৫ সালে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে কোচদের আস্থা কুড়িয়েছেন ২৮ বর্ষী আর্জেন্টাই ফরোয়ার্ড। অনেকে মেসির উত্তরসূরিও ভেবে থাকেন দিবালাকে। তবে জাতীয় দলে তাকে খুব একটা দেখা না গেলেও ২৮০ ম্যাচে ১১২ গোল ও ৪৮ অ্যাসিস্ট তার সামর্থ্যের জানান দেয়। ফলে তাকে নিয়ে না ভেবে উপায় নেই ক্লাবগুলোর।
ইন্টার মিলান বহু আগে থেকেই অ্যালেক্সিস সানচেজের বিকল্প হিসেবে দিবালাকে ভেবে রেখেছিল। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে অবস্থান করায় এডিন জেকোর বিকল্প হিসেবেও তাকে দলে রাখতে দিবালা হতে পারেন ভরসার নাম।
তবে সম্প্রতি বার্সা যোগ দিয়েছেন দিবালাকে দলে টানার দৌড়ে। লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর থেকেই ধুকছে বার্সা। আর্জেন্টাইনের যথার্থ উত্তরসূরি আজও খুঁজে পায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। সে কারণেই কিনা স্বদেশী সতীর্থকে দলে টেনে সমাধান খুঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে বার্সা।
উসমানে ডেম্বেলেকে দলে রাখবে না জাভি হার্নান্দেজ সে খবর পুরনো। মেমফিস ডিপেও আছেন জাভির বাদ পরতে যাওয়াদের শর্ট লিস্টে। ফলে শূন্যস্থান পূরণ করতে চোখকান খুলা রেখে এগোতে হচ্ছে জাভিকে। একই সাথে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মাথায় রেখে সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। সে যায়গায় দিবালা হতে পারে যথার্থ সমাধান।
তবে ঘরের ছেলেকে ছাড়তে চায় না জুভেন্টাস। চুক্তি নবায়ন করে দল গোছাল রাখায় হবে বিবেচকের কাজ। ফলে নতুন চুক্তিতে পারিশ্রমিক বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে দিবালাকে টানার ব্যাপারে সে কথা অনুমেয়।