তীব্র দাবদাহে দিনাজপুরে আমের ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড গরমে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম। বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিক ও আম চাষীরা।
দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় চার হাজার পাঁচশ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। গোপালভোগ, সূর্যপুরি, আম রূপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, বউভূলানি, আসিনিয়া, ছাতাপড়া, চিনিফজলি, সুরমাই, মিশ্রীভোগ, খিরশাপাতিসহ প্রায় ২০ প্রজাতির আম উৎপাদন হয় এ অঞ্চলে।
প্রতি মৌসুমে উৎপাদিত আম বিক্রিতে গড় আয় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি টাকা। আম চাষীরা বলছেন, আমরা যতোই স্প্রে করি না কেনো, আবহাওয়ার কারণে আম গাছে টিকতেছে না।
আম বাগান মালিকরা জানান, এই রকম গরম আর রোদ যদি থাকেই তাহলে তারা মাঠে মারা যাবেন। আম ঝরে পড়া দেখে একজন ব্যবসায়ী হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ মৌসুমে চরম বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বাগান মালিক ও আমচাষীরা। প্রচন্ড দাবদাহ ও খরায় ঝরে পড়ছে আম। গাছে স্প্রে দিয়েও বিপর্যয় ঠেকানো যাচ্ছে না। আম বাগান কিনে ক্ষতির শিকার হয়েছেন বাগান মালিকরা।
কয়েক বছরে দিনাজপুরে আম বাগানের পরিধি বেড়েছে। আম উৎপাদনে আম চাষিদের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান বলেন, কিছু কিছু বাগানে আম কিছু ঝরে পড়েছে। সেখানে চাষীদের ছত্রাকনাশক স্প্রে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা উচিত না। গাছের গােড়ায় পানি দেওয়া ও গাছে পানির স্প্রে করা। এই মুহূর্তে এটাই করণীয়।’