করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুরে ২৪ ঘন্টায় সদরেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে, আরও ২৭৫ জন, এরমধ্যে সদরে আক্রান্ত ১৯০ জন।
করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর সদরে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ।
লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠ কাজ করছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনায় ভেস্তে যাচ্ছে, প্রশাসনের কঠোর বিধিনিষেধ।
গত ১৩ জুন রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক শেষে জারিকৃত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী এ এ লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
শহরের পাঁচটি প্রবেশমুখে পুলিশ-আনসার-বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা তল্লাশিচৌকি বসালেও তেমন তৎপর নেই তাদের। লকডাউনের নির্দেশনায় জরুরি পণ্যসেবার দোকান ছাড়া অন্য সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ঘোষণা থাকলেও বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানের খোলা রয়েছে।
অকারণে মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে, মুখের মাস্ক থুতনিতে আটকে রেখে ঘুরছে, শহরের রাস্তা-মোড় এবং অলিগলিতে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউন পালনে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের নেতারা মাঠে থাকার কথা থাকলেও পুলিশ,র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া কাউকে চোখে পড়েনি।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সংক্রমণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুরে ২৪ ঘন্টায় সদরেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে, আরও ২৭৫ জন। এরমধ্যে সদরে একদিনে আক্রান্ত ১৯০ জন।