প্রায় আট বছর আগে নিজের ভাগ্য বদলাতে রাজাপ্পা পাড়ি জমান ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে। শুরু করেন দিনমজুরের কাজ। কিন্তু একদিন তার ভাগ্য বদলে যায়। আয়কর দিতে গিয়ে রাজাপ্পা আচমকা ঘোষণা দিয়ে বসেন, তার বার্ষিক আয় ৪০ লাখ রুপি।
এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় তার ওপর পুলিশের কড়া নজরদারি। কিছুদিনের মধ্যেই মাদক পাচারের অভিযোগে রাজাপ্পাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে পুলিশ জানায়, ৩৪ বছর বয়সী রাজাপ্পা ব্যাঙ্গালুরুতে এসে মাদক পাচারের সাথে জড়িয়ে পরে।
পুলিশের এক তদন্তে উঠে আসে রাজাপ্পার বাড়ির আশেপাশে মাদকের আস্তানা আছে। সেখানে তল্লাশি করে ২৭ কিলোগ্রাম মারিজুয়ানা আটক করা হয়।
ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সূত্র থেকে জানা যায়, আটক করা মাদকের দাম প্রতি কেজি ৪০ হাজার রুপি।
গ্রেপ্তারের পর রাজাপ্পার কাছ থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। দিনমজুর থাকা অবস্থায় চারবছরের মাথায় সে বিভিন্ন জায়গায় এই মাদকের আস্তানা গড়ে তোলে। পরে তার নেটওয়ার্ক ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বোরালিঙ্গাইয়া বলেন, ‘এতদিন রাজাপ্পা নিজেকে একজন ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে আসছিল। তার কালো টাকা সাদা করে বার্ষিক আয় দেখিয়েছে ৪০ লাখ রুপি। তখনই আয়কর অধিদপ্তরের সন্দেহ হয়।