হাথুরুসিংহের বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি। যতদিন ভালো বিদেশি কোচ পাওয়া না যায় ততদিন স্থানীয় কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। স্থানীয়দের মধ্যে একটি নামই এসেছে এখন পর্যন্ত। তিনি খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার অধীনে। শুক্রবার তিনি বললেন, ‘যদি দায়িত্ব পাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেব।’
‘এই ব্যাপারে আমি এখনো জানি না। এখনও কথাই হয়নি। বোর্ডে তো আলোচনা হবেই। নিঃসন্দেহে আমরা চাইব ভাল মুখই আনতে। আমার নাম আসছে আজকেই একটু শুনলাম। যদি দায়িত্ব পাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেব।’ বলছিলেন সুজন।
কোচের হঠাৎ পদত্যাগে সবার মতো অবাক হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। জাতীয় দলের ম্যানেজার থাকায় কোচের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল সবচেয়ে বেশি। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হলেও দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকায় তার প্রভাব অতটা পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে দাঁড়িয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি ছেলেরা অনেক পরিণত। দারুণ খেলোয়াড় আছে যারা কিনা অনেক অভিজ্ঞ। সাকিবরা যেমন অনেক টেস্ট, ওয়ানডে খেলে ফেলেছে। যেই কোচ হয়ে আসুক না কেন নতুন কোচ এসে অভিজ্ঞ একটা দল পাবে। মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে।’
হঠাৎ কোচের পদত্যাগ ও কারণ না বলা, এ বিষয়টা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইমেজের ক্ষতি করবে কিনা-এ প্রশ্নে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বোর্ডের তরফ থেকে এটুকু বলতে পারি চণ্ডিকাকে যতটুক সাপোর্ট করার, বিসিবি সবসময়ই করেছে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি মনে করি না তিনি এমন কিছু বলবে যে বিসিবির কারণে তাকে চলে যেতে হয়েছে। বিসিবি তাকে এখন পর্যন্ত দারুণ সাপোর্ট করে এসেছে।’
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৭ বছরে অনেক কোচই বদল হয়েছে। কিন্তু এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। কোচের বিদায় বলাকে বাস্তবতা হিসেবেই দেখতে বললেন তিনি, ‘বাস্তবিক জীবন এমনই। কেউ আসবে কেউ চলে যাবে। বাংলাদেশ টেস্ট দল হওয়ার পর অনেক কোচ বদলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট কিন্তু তার দিশা হারায়নি। ঠিক পথেই আমরা আছি। আগাচ্ছি সামনে। আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। অনেক দূর যেতে হবে।’