চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দায়িত্ববোধ থেকেই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিলো ভারত

মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে এগিয়ে এসেছিলো কেবল দায়িত্ববোধ থেকেই নয় হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়েও। এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু। কেবল পাশেই দাঁড়ায়নি ট্রেনিং আর অস্ত্র দিয়ে সাহস যুগিয়েছিলো পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

১৯৭১ এর ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে সাধারণ বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সর্বাত্মক আক্রমণে বহু মানুষ হতাহত হয়। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন প্রতিবেশী ভারতের ছাত্র যুবারা। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন কিভাবে সহযোগিতা করা যায়।

এই আন্দোলনে তখন সরাসরি অংশগ্রহন করে নেতৃত্ব দেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, সহমর্মিতার ভিত্তিতে সহযোগীতামূলক কাজ করা। কারণ বাংলাদেশের জনগণ মরণপণ লড়াই করেছে তাদের মুক্তির জন্য।

‘পৃথিবীর যে কোন দেশেই মানুষ থাক না কেন, তার মানবতা আর বন্ধুত্বের সূত্র মেনে আমরা সর্মথন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, লড়াইটা ছিলো বাংলাদেশের মানুষের। তারা তীব্র লড়াই করেছে অনেক রক্ত ঝরেছে।

ভারতে আশ্রয়ের জন্য ছুটে যাওয়া হাজার হাজার বাঙালী নারী পুরুষের জন্য গঠন করেন পিপলস্ রিলিফ কমিটি। তিনি আরো বলেন, স্বপ্রনোদিত আবেগ পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে আলোড়িত করেছে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন আদায়ে সেসময় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় কবিতা আর গান উৎসব।