অবরোধ তুলে নিতে বেঁধে দেয়া ১৩টি শর্ত মানতে কাতারকে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এর মধ্যে দাবি না মানলে দেশটির ওপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, সঙ্কট নিরসনের জন্য সৌদি জোটের ১৩টি শর্ত পূরণে এর আগে কাতারকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা শেষ হয়ে আসলেও এখনো মীমাংসার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। তাই সময়সীমা দু’দিন বাড়ালো কাতারের প্রতিবেশীরা।
উপসাগরীয় দেশ কাতার জানিয়েছে, অবরোধ আরোপ এবং সময় বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াসহ একটি চিঠি সোমবার দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ বরাবর পাঠিয়েছেন। সোমবার সেই বিশেষ চিঠি কুয়েত পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কুয়েতের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি সোমবার ওই চিঠিটি নিয়ে কুয়েতে যাবেন। শনিবারও তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কাতার জঙ্গিবাদে মদদ দেয়ার ব্যাপারে আরব দেশগুলোর অভিযোগ এখনো অস্বীকার করে। তাই তাদের দাবিও প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি।
তবে সঠিক শর্ত এবং পরিস্থিতিতে কাতার আলোচনায় বসতে রাজি বলেও তিনি জানান।
সঙ্কট নিরসনে অবরোধ আরোপকারী চার আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার কায়রোতে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। কাতারের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শোকরির আমন্ত্রণে ৫ জুলাই কায়রোতে ওই বেঠকে বসতে যাচ্ছেন গালফ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আবু জাইদ বিবৃতিতে বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আত্তিয়াহ বলেন, কাতার তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। স্কাই নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, আরব দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে অভ্যূত্থানের চেষ্টা করছে। তবে সঙ্কট সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কথা নাকচ করেন তিনি।