আইন ও বিধিমালায় অনেক নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগই ধার ধারেন না, নির্বিকার থাকে বাস্তবায়নকারী সংস্থাও। দুর্ঘটনার পর আলোচনা হলেও দশকের পর দশক অকার্যকর নিয়ম নীতির ফাইল।
উচ্চ পর্যায়েও জমে থাকে অনেককিছু, যে কারণে প্রক্রিয়া শেষ করেও চার বছর ধরে পড়ে আছে ভবন সংক্রান্ত আইনের খসড়া।
অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই কি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব? সম্ভব নয় বলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি না পৌছানো পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব ভবন মালিকেরই।
এজন্য উঁচু ভবনের নীচে শুধুমাত্র আগুনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সবসময় নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির মজুদ রাখার নির্দেশনা আছে অগ্নি প্রতিরোধ আইনে।
ভবনের প্রতি তলায় আগুন নেভানোর প্রাথমিক সব ধরণের বিশেষ ব্যবস্থাও থাকতে হবে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজলে নিরাপদে নেমে যেতে জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। ঢাকার বেশিরভাগ ভবনেই যথাযথভাবে এসব নেই। যাদের আছে সেখানেও নিয়ম না মানা বা না জানার সমস্যা আছে।
বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বিল্ডিং কোড করা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে, সরকারি অনুমোদন পায় ২০০৬ সালে। এরপর আর হালনাগাদ হয়নি বিল্ডিং কোডের বলে জানিয়েছে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
অতীতে অগ্নিকাণ্ড বা ভবনধসের পর তদন্ত কমিটি হয়েছে, গ্রেপ্তারও হয়েছে। তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখেননি ভুক্তভোগীরা। নতুন আশা নতুন মন্ত্রীর।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নকশার ঠিকঠাক বাস্তবায়ন এবং অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে বাধ্য করতে পারলে সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: