নিউজিল্যান্ড সফরের বিমানে উঠার আগে থেকেই ইনজুরি সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। সেই সফর শেষ হতে চললেও ইনজুরির গ্রাস থেকে মুক্তি পায়নি দল। বরং শেষ টেস্টে ইনজুরির জন্য দলের প্রথম সারির তিন খেলোয়াড়কেই পাচ্ছে না টাইগাররা।
তাই দল সাজাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। নিউজিল্যান্ড সফরের আগে ও পরে সব মিলিয়ে ১০ জন খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েছেন। দল নিয়ে আগে কখনো এমন সমস্যায় পড়েনি বাংলাদেশ।
পুরো ক্রিকেট টিমের ওপর যেনো এই ইনজুরির জুজুই এখন চেপে বসেছে। সবশেষ এক নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েই ইনজুরিতে পড়েছেন মোস্তাফিজ-মাশরাফি-তামিম-ইমরুল-মুশফিক। পরে যোগ হয়েছেন মুমিনুল হক। এদের মধ্যে মোস্তাফিজ ছাড়া সবারই আঘাতজনিত ইনজুরি।
ইনজুরির কারণে পুরো ফিট না থাকলেও দলে রাখা হয় মোস্তাফিজকে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজের পুরোটা খেলতে পারেননি। তিন ম্যাচের উভয় সিরিজে একটি করে ম্যাচ মিস করার পর টেস্টে দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি কাটার মাস্টারের।
অধিনায়ক মাশরাফির ডান কব্জির ওপরের অংশ চিড় দেখা দেয়। এ কারণে অন্তত ছয় সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরের থাকতেই হবে। আট সপ্তাহও লাগতে পারে।
অধিনায়ক মাশরাফির বলেই উইলিয়ামসনের ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাঁ-হাতের তালুতে ব্যথা পান তামিম ইকবালও। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারেন তিনি।
ওয়েলিংটন টেস্টে ব্যাটিং করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন মুশফিক ও ইমরুল। ওই টেস্টে ১৫৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। তবে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল আর ডান হাতের তর্জনীতে চোট পান তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে একটি বল গিলে লাগে তার হেলমেটে।
মাঠে লুটিয়ে পড়া বাংলাদেশের অধিনায়ককে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে গুরুতর কিছু হয়নি। বুড়ো আঙুল পুরোপুরি সেরে না উঠায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলছেন না তিনি। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম মুশফিককে ছাড়া টেস্টে ব্যাটিং করতে নামবে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম আহত হওয়ার পর প্রায় দেড়শ ওভার কিপিং করেন ইমরুল কায়েস। তারপর নামেন ব্যাটিংয়ে। খেলার এক পর্যায়ে দ্রুত রান নিতে গিয়ে ডাইভ দিতে গিয়ে তার বাঁ ঊরুতে টান লাগে। শেষ পর্যন্ত তিনিও দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন বলে জানান টিম ম্যানেজমেন্ট।
বুকে ব্যথার কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারছেন না টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক সৌরভ। মুমিনুলের বুকের এক্সরে করানোর পর ৭ দিনের বিশ্রামের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম টেস্টের বাইরে থাকছেন মুমিনুল।
নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে আসার পরই ব্যাকফুটে যায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজ ছাড়াও বিপিএল খেলতে গিয়ে চোটের শিকার হন পেসার মোহাম্মদ শহীদ। চোট পান তরুণ ইবাদত হোসেন। বিপিএলে আরও ইনজুরিতে পড়েন লেগ স্পিনার তানভীর হায়দারও।
বিপিএলের এবারের আসরে বল হাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন শফিউলের পারফরম্যান্স। খুলনা টাইটান্সের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নেন তিনি। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হয়ে যায় এই পেসারের।