বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির মুক্তির শর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ- এমন কিছু মেনে নেবে না সরকার।
শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নিয়মিত আয়োজন ‘মিট দ্য রিপোটার্সে’ তিনি এ কথা বলেন।
হাসানুল হক বলেন, ‘দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির মুক্তির শর্ত নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ- গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর কুঠারাঘাত।’
সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপরও জোর দেন তিনি।
এছাড়াও ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ যেন সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ না করে সেদিকেও গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় তদারকি সেল কার্যকর করার কথাও বলেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া।
ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ওই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকেও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: