বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মানুষের প্রাকবৃদ্ধকালীন হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মানুষের তুলনায় অনেক বেশি। ঝুঁকির মাত্রা এই অঞ্চলের মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে তুলনামুলকভাবে বেশি। ‘স্ট্যানফোর্ড সাউথ এশিয়ান ট্রান্সলেশনাল হার্ট ইনিশিয়েটিভ’ পরিচালিত একটি গবেষণায় এমন ফলাফলই উঠে এসেছে।
হৃদরোগের চরম ঝুঁকিতে থাকা এই অঞ্চলের দেশগুলো হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দেশগুলোর মানুষের বয়স ৫০ হবার আগেই হার্ট অ্যাটাক হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই নয় ৬৫ বছর বয়সের আগেই এই অঞ্চলের মানুষের প্রতি তিন জনের একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা যাবার ঝুঁকিতে আছে। এমনকি নবজাতক এবং শিশুদের রক্তে কোলেস্টেরল এবং লিপোপ্রোটিন থাকার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
যে পাঁচটি কারণে এই অঞ্চলের মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি:
১. শরীরে উচ্চমাত্রার কলেস্টেরলের মাত্রা যা হৃদরোগের বড় একটি কারণ।
২. উচ্চমাত্রার হোমোসিস্টিন যা শরীরে তৈরি হওয়া এক ধরণের অ্যামাইনো এসিড। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য দায়ী।
৩. উচ্চমাত্রার চরম-সংবেদনশী সি-রিয়াক্টিভ প্রোটিন যা হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের কারণ।
৪. বিপাকীয় রোগ। এটা থাকলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস দুটোই হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দক্ষিণ এশিয়ার এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই রোগে ভোগে।
৫. পেটের স্থূলতাও হৃদরোগের একটি বড় কারণ যা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।